1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : muzahid : muzahid
  4. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

রোজায় শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে করণীয়

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৫১ বার দেখা হয়েছে

শুরু হয়েছে সংযমের মাস। এই মাসে খাওয়াদাওয়ায়ও সংযম থাকা চাই। বিভিন্ন খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে এবং খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকলে রোজায় সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা যাবে।

সতেজ থাকতে করণীয়:

সাহরিতে খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে না খেয়ে, একটু আগে উঠতে হবে।

এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেয়ে পেট পরিষ্কার করে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে বিভিন্ন রঙের খাবার যেমন—তিন-চার রঙের সবজি, দু-তিন রকমের ফল ইত্যাদি গ্রহণ করলে খাবার সহজে হজম হবে।
রোজাদারদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে একটি নিয়ম বানিয়ে ফেলতে হবে। যেমন—সাহরিতে তিন গ্লাস, ইফতারিতে পানি ও শরবত মিলিয়ে তিন গ্লাস, তারাবির নামাজের আগে ও পরে দুই গ্লাস, রাতের খাবারের পরে দুই গ্লাস, ঘুমানোর আগে বা সাহরিতে হাফ গ্লাস বা এক গ্লাস দুধ (রোগ ও বিশেষ অবস্থার জন্য ডায়েটিশিয়ানের নির্দেশনা অনুযায়ী এই নিয়ম পরিবর্তিত হতে পারে)।

রোজা ভেঙে অনেক বেশি খাবার একবারে খাওয়া যাবে না। সারা দিন পাকস্থলী বা হজমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অঙ্গগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে। হঠাৎ করে বেশি খাবার পেলে সেগুলোর কাজের গতি বেড়ে যায়। যার দরুন রোজাদারদের অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।

তাই ইফতারের খাবার হওয়া চাই সহজপাচ্য। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিভেদে খাবার গ্রহণের পরিমাণও নির্দিষ্ট হতে হবে। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগী এবং অন্যান্য বিশেষ রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী খাবার তালিকা প্রস্তুত করা উচিত।

খাবারের পরিমাণের পাশাপাশি খাবার তৈরির পদ্ধতি, রান্নার তেলের মান, খাবার রান্নার পাত্র, পরিবেশনের পাত্র, খাবার প্রস্তুতের পরে সেটা ঢেকে রাখা হচ্ছে কি না, খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সালাদ বা ফল কতক্ষণ বাইরে রাখা হয়েছে ইত্যাদি ব্যাপার অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। শরবতে চিনির ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

ব্যবহার করলেও কম পরিমাণে করতে হবে। প্রাকৃতিক চিনি স্টেভিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। ফল জুস করে না খেয়ে স্বাভাবিকভাবে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্যই খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া অর্থাৎ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

মোটকথা, আপনার কী ধরনের খাবার প্রয়োজন সেটা একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে জেনেবুঝে গ্রহণ করতে পারেন। কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকলে রোজার সময় ওষুধের ডোজের মাত্রা কেমন হবে, কখন কখন খেতে হবে, সেগুলো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত।

পরামর্শ দিয়েছেন

ফাতিম তুজ জুহুরা

মেরিন হেলথকেয়ার হসপিটাল

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ