1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : muzahid : muzahid
  4. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

৮ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার নামে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪০১ বার দেখা হয়েছে
BSEC-

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার নামে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি তুলেছে বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। তাই এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তদন্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে কোম্পানিগুলো হলো: অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং মিলস, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড।

রোববার ১ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড প্রতারণার কথা উল্লেখ করে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত ৮ কোম্পানির জন্য পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিগুলোর অসত্য আর্থিক প্রতিবেদন, দুর্বল করপোরেট গভর্ন্যান্স, লভ্যাংশ প্রদান না করা, রিজার্ভে টাকা রেখে লুটপাট করা, দুর্বল আইপিও অনুমোদন এবং রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার কারণে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।

তাছাড়া সম্প্রতি কিছু কিছু কোম্পানির ডিভিডেন্ড প্রতারণার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শেয়ারবাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে। পর্যপ্ত মুনাফা ও রিজার্ভ থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না। আবার কোনো কোনো কোম্পানি নামমাত্র লভ্যাংশ দিচ্ছে।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বেক্সিমকো ফার্মা ৮.৬৭ টাকা ইপিএস হওয়ার পরেও ১৫% ক্যাশ ও ১০% স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটি ৩৫১ কোটি টাকা মুনাফার বিপরীতে মাত্র ৬০ কোটি টাকা লভ্যাংশ বাবদ দিয়েছে যা অনৈতিক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা।

ভিএফএস থ্রেড ডাইং ১.৪৯ টাকা ইপিএস হওয়ার পরেও ৩% ক্যাশ ও ৩% স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা অনৈতিক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা।

গোল্ডেন হারভেস্টের সর্বশেষ ইপিএস হয়েছে ০৪ পয়সা। চলতি হিসাব বছরে কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৪১ পয়সা, তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০৪ পয়সা। আর ২০১৯ সালে ইপিএস ছিল ২.০৩ টাকা। ফলে বছরের ব্যবধানে কোম্পানির ইপিএস আশঙ্কাজনহারে কমেছে।

এছাড়া কোম্পানিটি ২০১৯ সালে রাইট ইস্যুর মাধ্যমে ৭৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। এরপরও কোম্পানি ২০২০ সালের জন্য ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। ফলে কোম্পানির রাইটের টাকার অপব্যবহার ও ইপিএস প্রতারণা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এছাড়া নর্দান জুট ইপিএস হয়েছে ১১.৩৩ টাকা। কোম্পানির মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ। রিজার্ভ ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

আর খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে লোকসান হয়েছে ০.৩৬ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ১৭ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

ম্যাকসন স্পিনিং ১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা মুনাফার বিপরীতে ডিভিডেন্ড দিয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা ১.৪১ টাকা ইপিএস হওয়ার পরেও ১০% স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা অনৈতিক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা।

বিকন ফার্ম‍া ১.৬৫ টাকা ইপিএস হওয়ার পরেও ৬% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা অনৈতিক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা বলে মনে করে সংগঠনটি।

তাই উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ