টানা ১৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে থাকা সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে অফসোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে ৪৮৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তুলেছেন ব্যাংকটির আমানতকারীরা। যাকে ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার ধ্বসের কারনে বিএসইসি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) নিয়োগ বাণিজ্য, ঋণ বাণিজ্য ও সুদ মওকুফ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে মানববন্ধন করে ব্যাংকটির দীর্ঘদিনের সুনাম ও হাজার হাজার গ্রাহকের আমানত রক্ষায় নিরপেক্ষ তদন্তেরও আহ্বান জানান আমানতকারীরা।
জানা যায়, দুর্নীতি ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন। যা তিনি কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং দুবাইতে পাচার করেছেন। পাচার করা অর্থে এসব দেশের অভিজাত এলাকায় গড়ে তুলেছেন বাড়ি। দুবাইতে আছে বিলাসবহুল হোটেল ও বার। রাজধানী ঢাকার গুলশানে তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে ব্যক্তিগত অফিস। গাজীপুরে বাড়ি ছাড়াও শ্রীপুর, ভাওয়াল এবং কাঁচপুরে অন্তত ১৫০ বিঘা জমি কিনেছেন। ব্যাংকে করেছেন স্বজনপ্রীতি, শাখাগুলোতে ফার্নিচার কিনতে পছন্দের কোম্পানি (জার্নিম্যান) নিয়োগ করেছেন। যেখানে প্রতিটি চেয়ারের দাম রাখা হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, কম্পিউটার টেবিলের দাম ধরা হয়েছে ৬২ হাজার টাকা। এভাবেই নিজের ভাগ্নের কোম্পানির মাধ্যমে ফার্নিচার কেনার নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য,শেয়ারবাজারের প্রথম কেলেঙ্কারির সময় (১৯৯৬) বিএসইসির সদস্য ও কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।