শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটিভ ফাইন কেমিক্যালের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়কর হিসাবে গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। এছাড়া বাকিতে বিক্রির বিপরীতে অর্থ আদায় না হওয়ায় লোকসানের ঝুঁকি ও শ্রম আইনের ব্যত্যয় পেয়েছে নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, একটিভ ফাইন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ এর প্যারা ১২ ও ১৫ অনুযায়ি আয়কর ও ডেফার্ড ট্যাক্স সঞ্চিতি গঠন করেনি। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়কর অব্যাহতি নিয়ে ‘ন্যাশনাল একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস (এপিআিই) ও ল্যাবরেটরি রিগেন্টস প্রোডাকশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট পলিসি’ শীর্ষক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে এমনটি করেছে। কিন্তু এ জাতীয় আয়কর অব্যাহতির সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১১ অক্টোবর কিছু শর্ত ও নির্দেশনা দিয়ে বিশেষ রেগুলেটরি আদেশ (এসআরও) প্রকাশ করেছে। কিন্তু একটিভ ফাইন কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত সনদ গ্রহন করেনি।
এছাড়াও একটিভ ফাইন কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদ ও কাচাঁমাল ক্রয়বাবদ অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর সেকশন ৩০(এম) পরিপালন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০১১ সালের নির্দেশনা অনুযায়ি, প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে একটি ফাইনে এই হার মাত্র ১২.০৪ শতাংশ।
এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০০৬ সালের শ্রম আইন অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ১০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
কোম্পানিটিতে বিগত বছরগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা টাকার একটি বড় অংশ ২০২০-২১ অর্থবছরেও সংগ্রহ করা যায়নি। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২.৫০ শতাংশ হারে সঞ্চিতি গঠন করেছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া একটিভ ফাইন কেমিক্যালের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ৮৭.৯৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৫.৯০ টাকায়।