1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

যে কারণে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
kedny

হঠাৎ করেই বিকল হতে পারে কিডনি। এর কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা কিংবা ডায়রিয়া। যারা দৈনিক রোদে কাজ করেন ও পানি খাওয়ার সময় পান না, তদের ক্ষেত্রে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে।

এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাওয়া, প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে বেশি পাথর জমা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ ইউরিন ইনফেকশনের কারণে একদিনের হঠাৎ করেই কিডনি বিকল হতে পারে।

এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতাই আকস্মিক কিডনি বিকলের অন্যতম কারণ।

তাই ডায়রিয়া হলেই তাৎক্ষণিক খাবার স্যালাইন খেতে হবে, যাতে পানিশূন্যতা না হয়। অনেক সময় তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকে কারণে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই অবশ্যই মনে রাখতে হবে যখন তখন ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়া যাবে না। তার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

আবার অতিরিক্ত পানি খাওয়াও মৃত্যুর কারণ হতে পারে, বলে জানান ডা. সামাদ। তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে বমি বমি ভাব ও মাথা ঘুরতে পারে। আবার একসঙ্গে দ্রুত অত্যাধিক পানি খাওয়াও ঠিক নয়। কিছুক্ষণ পরপর ধীরে ধীরে পানি পান করুন। এ বিষয়ে সবারই সতর্ক থাকা জরুরি।

একই সঙ্গে তলপেটে বা মূত্রনালিতে ব্যথা, ঘুমের ব্যঘাত, প্রস্রাবে পাথর যাওয়া, চোখের পাতা বা পা ফোলা, ত্বকের রং ফ্যাকাশে হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শরীরে কালচে হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।

কিডনির রোগ সনাক্ত করার বিষয়ে ডা. সামাদ বলেন, ইউরিন ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই কিডনির সমস্যা সনাক্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। আর কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।

এক থেকে পঞ্চম ধাপে দিয়ে কিডনি ফেউলিওর হয়, তখন রোগীকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তৃতীয় ধাপে থাকলে ওষুধের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে আনা হয়। এর ফলে রোগী আরও বেশ কয়েকটি বছর সুস্থ থাকতে পারেন।

কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায় কী? এ প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক জানান, শরীরচর্চার বিকল্প নেই। দৈনিক আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৫ মিনিট জোরে হাঁটলে গড়ে ৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যায়। পাশাপাশি ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি বাদ দিলেও হার্ট অ্যাটাকসহ কিডনি রোগের ঝুঁকি কমবে।

ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে। খাওয়ার বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন থাকুন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ