চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪ পয়সা কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৪ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা। এদিকে ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ আগস্ট বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ২০ জুন। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা।
বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে, যার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।